কেন অটোক্যাড শিখবেন?
অটোক্যাড হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজাইনিং ও ড্রাফটিং করার সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রাফিক্স প্রোগ্রাম। ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে এর ব্যাবহার সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে-বিদেশে ২ডি অথবা ৩ডি ডিজাইনিং এর জন্য অটোক্যাড ব্যাবহৃত হয়ে আসছে এবং বর্তমানেও ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরি পেতে হলে অটোক্যাড এর কাজ জানা থাকা আবশ্যক হয়ে দাড়িয়েছে। মনের মতো করে বাড়িঘর ডিজাইন করতে বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর সিভিল ড্রয়িং, ম্যাকানিকাল ড্রয়িং, আর্কিটেকচারাল ড্রয়িং এর জন্য এমন কার্যকর সফটওয়্যার খুব কমই আছে। খুব সহজে ও নিখুঁতভাবে ডিজাইন করার জন্য সব নামকরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও ইন্জিনিয়ারই অটোক্যাড এর ওপর নির্ভর করে। অটোক্যাডে দক্ষ হতে পারলে দেশে-বিদেশে সর্বত্রই কদর পাওয়া যায়।
অটোক্যাড শিখে কেমন কাজ পাবো?
অটোক্যাড এর কাজ শেখার পর ব্যাপক পরিসর থেকে কাজ বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি যেমন: ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ফার্ম, রিয়েল এস্টেড, এড ফার্ম ইত্যাদি সেক্টরে কাজ করা ছাড়াও ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনট্রাক্টর হিসেবেও কাজ করতে পারেন। অটোক্যাডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিজাইনার বা ইঞ্জিনিয়ারের চাকুরির শুরুতেই ভালো সেলারি পাওয়ার সুযোগ থাকে আর ইন্টারভিউতেও অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।
লোকাল ইন্ড্রাস্ট্রিতে প্রচুর কাজের সুযোগ থাকার পরও আপনি যদি মুক্তভাবে কাজ করতে চান তাহলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। প্রতিদিন এসব মার্কেটপ্লেসে প্রচুর পরিমানে কাজ পোস্ট করা হয়, তাই অটোক্যাডে আপনি যদি দক্ষ হতে পারেন তাহলে আপনি যে সেক্টরেই কাজ করতে চান না কেন কাজের কোনো অভাব নেই।
অটোক্যাড শিখে কেমন আয় হবে?
..................................................................................................................
আগেই বলেছি যে অটোক্যাডের কাজ জানা থাকলে আপনি যে সেক্টরেই কাজ করতে চান না কেন সেই সেক্টরের অটোক্যাড না জানা লোকদের চেয়ে অবশ্যই ভালো অবস্থানে কাজ শুরু করতে পারবেন। আর্কিটেক্ট ডিজাইনার বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের ক্ষেত্রে শুরুতেই ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা বেতন এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বেতনের পরিমান বাড়তেই থাকে। অভিজ্ঞ আর্কিটেক্ট ডিজাইনাররা মাসে গড়ে ৩৮,০০০-৫০,০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকে।
...................................................................................................................
...................................................................................................................
চাকরির বাইরে কাজ করতে চাইলে বা ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে আয়ের পরিমান আরও বেশি দেখা যায়। বিদেশি কোম্পানিদের সাথে কাজ করলে আয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অটোক্যাড সম্পর্কিত প্রতিটি কাজের জন্য ফিক্সট রেটের ক্ষেত্রে গড়ে ২০০-১০০০ ডলার পেমেন্ট করা হয়ে থাকে। এছাড়া আওয়ারলি কাজের ক্ষেত্রে গড়ে ১৫ ডলার থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করা হয়ে থাকে।
অটোক্যাড শেখার পরে কাজের এই বিশাল সুযোগ হাতছাড়া করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। তাই যারা এ জাতীয় কাজে ক্যারিয়ার গড়তে চান কিন্তু অটোক্যাড শিখবেন কি-না বুঝতে পারছেন না তারা আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত প্রফেশনাল কাজের জন্য অটোক্যাড শেখা শুরু করে দিন।
Comments
Post a Comment